প্রতিদিনই দেশের সড়ক ও মহাসড়কের কোথাও না কোথাও অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে পরিবহনের চালকদের সচেতনতা বাড়াতে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় লেখা থাকে ‘দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা’, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক বা সেতু’, ‘ওভারটেকিং নিষেধ’সহ বিভিন্ন নির্দেশনা। তবে চালকদের মধ্যে এসব নির্দেশনা মানার কোনো বালাই নেই। ফলে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনা। ঈদের আগে ছিল যানজট, পরের তিনদিন রাস্তা প্রায় ফাঁকা। অথচ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রতিদিনই। শুধু কোরবানির ঈদের দিন থেকে পরের পাঁচদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে মোট ৫৭ জনের। আহতের সংখ্যা শতাধিক।
গত ৫ই জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৬দিনে দেশের বিভিন্ন জেলার সড়ক ও মহাসড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে। নিহতদের মধ্যে শিশু, নারী, শিক্ষার্থী ও চিকিৎসক রয়েছেন। ছুটির যাত্রা প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে সড়কে।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ও এক পথচারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুন্নার মোড়ের তেল পাম্পের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-নাটোর সদর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সুবর্ণা খাতুন (৩০) ও মেয়ে পূর্ণতা এবং উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী মুন্নার মোড় এলাকার মৃত আবেদ আলী মণ্ডলের ছেলে আনিছুর রহমান। হাইওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়ি কুষ্টিয়া থেকে নিজের বাড়ি নাটোরে ফিরছিলেন মফিজুল ইসলাম। মাঝপথে ঈশ্বরদীর মিরকামারী মুন্নার মোড় এলাকায় সড়কের পাশে লিচু কেনার উদ্দেশ্যে দাঁড়ালে পেছন থেকে আসা কাভার্ড ভ্যান মফিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী-কন্যাসহ লিচু বিক্রেতাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে আহত মফিজুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
একইদিন ময়মনসিংহে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে মো. মঞ্জুরুল হাসান (৪১) নামে এক বাসের হেলপার নিহত হয়েছে। সকাল পৌনে ৮ টার দিকে নগরীর চায়না মোড় এলাকায় গ্যাসলিন ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মো. মঞ্জুরুল হাসান শেরপুরের শ্রীবরদীর বাসিন্দা। তিনি বাসের হেলপার ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৯ জন যাত্রী। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ১৯ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুসহ ৭ জনকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এরআগে ৯ জুন রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মাই?ক্রোবা?সের মু?খোমু?খি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হ?য়ে?ছেন। নিহতরা হলেন-তারা?বো সুলতানবাগ এলাকার আবুল হাসান আসিফের ছেলে শাহরিয়ার হাসান আকাশ (২৯) ও অটোরিকশা চালক অজ্ঞাত (৩৫)।
নরসিংদীর শিবপুরে বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু নিহত হয়েছেন। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে ইটাখোলা-শিবপুর সড়কের বান্দারদিয়া পেট্রলপাম্প এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন সাইফুল ইসলাম (২২), আশিক (২২) ও অপু (২০)। তারা সবাই শিবপুর উপজেলার মির্জাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। ঈদের ছুটিতে ঢাকা বিভাগের অন্য জেলাতেও ঘটেছে নানা দুর্ঘটনা। ফরিদপুরের মধুখালীতে ভ্যানচালক আমিনুল ইসলাম (৫৫) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৯ জন। দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকালে মেছড়দিয়া মোড়ে। টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাগুলো ঘটে এলেঙ্গা ও নাগবাড়ি এলাকায়। গত রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওরে পঞ্চরাস্তা ফ্লাইওভারে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে সিরাজুল ইসলাম শেখ (৪২) নিহত হন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে ফয়সাল শেখ (১৫) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন লাবিব শেখ (১২) ও রাকিব শেখ (২২)। দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাত ১২টা ৩০ মিনিটে মল্লিকের মাঠ এলাকায়। গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ছাত্রদল নেতা আসাদুজ্জামান রাজিব (৪০) নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এমসি বাজার এলাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ার তেতৈতলা হাঁস পয়েন্ট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩২) নিহত হন। আহত হয়েছেন ফয়সাল হোসেন (৩৩)। অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের আটপাড়া কল্লিগাঁও এলাকায় অটোরিকশা এবং কাঠবোঝাই নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাসুদ রানা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। গত সোমবার রাতে তারাব এলাকায় অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে শাহরিয়ার হাসান আকাশ (২৯) এবং একজন অজ্ঞাত চালক (৩৫) নিহত হয়েছেন।
মৌলভীবাজারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার শমসেরনগর সড়কের দু’টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নগরীর শেখঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় রিকশা আরোহী চিকিৎসক রাহিমা খানম জেসি প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার বিকেলে বড়লেখায় কাঁঠালতলী এলাকায় প্রাইভেট কার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই সাহেদ হোসেন সুমন (২৬) ও রুমন আহমদ (২৪) নিহত হয়েছেন।
শেরপুর সদরে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে মোবারকপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ইমরান হোসেন (১৮), আল আমিন (১৯) ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য ডিজে (২৬)। ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মসজিদে ধাক্কা দেয়। এতে বাবা পারভেজ মিয়া (৩৫) ও ছেলে হাসান (৮) নিহত হয়েছেন। আহত হন ১২ জন। গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে চালক জালাল মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বারহাট্টার ওরাদীঘি বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এক পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন-মোস্তফা মণ্ডল (৪৩), স্ত্রী সেলিনা (৩৮) ও ছেলে মাহিম (৮)। জেলার কোটচাঁদপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র কাজল (১৮) এবং ছাত্র আদনান (১০) নিহত হয়েছে। একই উপজেলার যাদবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সাগর (১৫) ও তামিম (১৬) নিহত হয়। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে মাগুরা সদরের মঘীর ঢালে দুর্ঘটনায় মোশাররফ হোসেন (৪০) নিহত হয়েছেন। তার স্ত্রী গুরুতর আহত হন। খুলনার রূপসা ব্রিজের পশ্চিম প্রান্তে ট্রাক-ইজিবাইক সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম (৫৬) ও তানজিল (১২) নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত চারজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে আবুল কাশেম (৫৮), সোহাগ মিয়া (১৯) ও নুরুল আলম (৫৫) নিহত হন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে বাঁশবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। চাঁদপুরের মতলবে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় শিশুসহ গুরুতর আহত হয়েছেন ৭ জন। ৮ জুন দুপুরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার বরদিয়া ব্রিজ এলাকায় চাঁদপুরগামী সিএনজি ও ঢাকাগামী জৈনপুরী এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-সিএনজি চালক ছিদ্দিকুর রহমান (৫০), যাত্রী তপন চৌধুরী (৩৫)। ৭ জুন রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- মোয়াজ্জেম হোসেন (৮৫) ও হৃদয় আলী (২০)। ঈদের ছুটির ৩ দিনে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। ঈদের দিন বিকালে অন্তর পাল (২৭) নামের এক যুবক এবং ঈদের ৩য়দিন দুপুরে আসকর মণ্ডল নামের (৬০) এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী আরও ৪ জন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী রিয়ান হোসেন (২০) নামে এক তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন। দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা ইয়াছিন (১৭) গুরুতর আহত হন। ৮ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের চুমুরদি ইউনিয়নের বাবলাতলা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দিনাজপুরের বিরামপুরে লিচুবাহী ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক হেলপারের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ট্রাকের ড্রাইভার গুরুতর আহত হয়েছেন। ১০ জুন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টাটকপুর বেলডাঙ্গা নামক মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হামিদ (২৩) বগুড়া জেলার শাহজাদপুর উপজেলার মণ্ডলপাড়া গ্রামের রাসেল মণ্ডলের ছেলে।
৬ জুন গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন- পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল গ্রামের লিয়াকত হোসেন (১৮), ইউনুছ (২০), ও অটোরিকশাচালক গনি মিয়া (৪০), গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের আজিজার রহমান (৪০), একই গ্রামের আজিবর রহমান (৪০), কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আনোয়ার হোসেন (৩০) ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২২) দুর্ঘটনায় মারা যান। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন-পান্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটেকি গ্রামের দুলাল মিয়া (৪৫) ও একই ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের শাহাব উদ্দিন (৫৫)। কুমিল্লায় দুই উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে দুই নারী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। নিহতরা হলেন-নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর গ্রামের বোকদাত মিরার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯) এবং একই থানার আলমশ্রী গ্রামের প্রয়াত গজু মিরার মেয়ে পুষ্প আক্তার (২৪)।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, এবার ঈদযাত্রায় বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল বৈরী আবহাওয়া। অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি যানবাহনে যাত্রীর চাপ ছিল। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করেছে গণপরিবহনগুলো। এটাই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। তবে এখনো রাজধানীতে ফেরার পর্ব বাকি আছে। আমরা সতর্ক আছি। সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. আরমানা সাবিহা হক বলেন, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হবে গণপরিবহনে, এটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে এখন। যানবাহনের অতিরিক্ত গতিও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এই দুই মিলিয়ে এবারও ঈদে সড়কে অনেকের প্রাণহানি ঘটল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার যাবতীয় উপাদান সড়কে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদেও বৃষ্টির কারণে সড়কে গর্ত-খানা খন্দে পরিনত হয়েছে, তার উপরে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার, ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশার সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারণে এবারের ঈদযাত্রা সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

ঈদের ছুটিতে সড়কে ঝরলো ৬৩ প্রাণ
- আপলোড সময় : ১২-০৬-২০২৫ ০১:২৪:০৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১২-০৬-২০২৫ ০১:২৪:০৩ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ